আওয়ামী লীগ সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদীর গুলশান-২ নম্বরের পরিত্যক্ত বাড়িটি সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন, যেখানে এই সম্পত্তি দ্রুত সরকারের হস্তান্তরের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এই রায় অনুযায়ী, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সরকার এই বাড়ি দখল করবে, যা আগেই আদালত নিশ্চিত করে দিয়েছিল।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই ৫২ পাতার রায় স্বাক্ষর করে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। এক বছর পেরিয়ে গেলেও এই সম্পত্তির ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ঘটনা এটি।
এর আগে, এই জমি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে সরকারের হাতে হস্তান্তর করতে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল। রিটের শুনানি শেষে, এই নির্দেশনা দেয় বিচারকরা। পাশাপাশি, এই বাড়ির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র ১৫ দিনের মধ্যে আদালতকে সরবরাহের জন্য বলা হয়।
হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, সরকার বা কোনো বেসরকারি ব্যক্তি এই সম্পত্তি ইজারা নিতে পারবে না। এটি জনস্বার্থে সংরক্ষিত থাকবে। এই সম্পত্তি নিয়ে অভিযোগে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন রিট দাখিল করেন, যেখানে তিনি বাড়িটি অবৈধভাবে দখলে রাখার বিষয়টি তুলে ধরেন।
প্রাথমিক শুনানির পরে, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে, আদালত বাড়িসংক্রান্ত সব নথি দাখিলের নির্দেশ দেয়। আবদুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে দখল এবং অনিয়মের অভিযোগে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রুল জারি করা হয়। এরপর রাজউক এই নথি জমা দেয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনকেও (দুদক) এই বিষয়ের তদন্তে নির্দেশ দেওয়া হয়।
অদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, দুদক এই বাড়ির বিষয়ে হলফনামা আকারে তথ্যাদি দাখিল করে। এর মধ্যে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের আগস্টে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়, এবং ওই বছরই আবদুস সালাম মুর্শেদী হত্যা মামলায় কারাগারে যান। তার পাশাপাশি, মামলার অন্য পক্ষ, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনও একই মামলায় কারাগারে আছেন।
প্রভাবশালী এই মামলার প্রত্যাঘাতের জন্য সালাম মুর্শেদী আপিল বিভাগেও গিয়েছিলেন, কিন্তু সেই আপিল আপাতত স্থগিত রয়েছে।
Leave a Reply